কর্মই জীবন
দিলোয়ার
হোসেন পাঠান
তুলিতে আঁকা এ জীবন, কর্মের মহিমা
মূর্ত,
প্রভাতের রবি যেমন উদয়, কর্মের পটভূমি
সুর্নির্দিষ্ট।
মেঘের আড়ালে যে চাঁদ লুকায়, কর্মহীন
তার তৃষ্ণা,
জীবনের গতি হারায়, যদি থাকে কেবল
বিশ্রাম।
কর্মই জীবন, কর্মেই প্রাণ, এ বাণী
যেন অমৃতধারা,
নদীর স্রোত যেমন বয়ে চলে, তেমনি
কর্মের বহ্নি জ্বলা।
বীজের মাঝে যেমন অঙ্কুরিত, কর্মের
মাঝে সেই উত্থান,
কর্মহীন জীবনে নেই কোনো আনন্দ, নেই
কোনো সৃষ্টির গান।
জীবনের কলমে ফুটে ওঠা, কর্মের মহিমা
উদাত্ত,
প্রতিটি অক্ষরে বয়ে চলে, কর্মের
তেজ, কর্মের পণ।
অলসতা যেন মৃত্যু, কর্মে যেন জীবনের
সাধ,
কর্মেই গড়ে ওঠে ভবিষ্যৎ, কর্মেই
খুঁজে পাই ন্যায়-অন্যায়।
যতই হোক ক্লান্তি, যতই হোক ব্যথা,
কর্মের মাঝেই খুঁজে পাই, জীবনের আসল
কাহিনী।
আমার এ মহাকাব্যে, কর্মের ঝলক, কর্মের
জয়গান,
প্রতিটি লাইনে অঙ্কিত, কর্মই জীবন,
কর্মেই সকল আনন্দ-অনুপ্রাণ।
তুমি আমি সকলেই, কর্মের পথে চলি,
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে, কর্মই আমাদের
সবকিছু।
কর্মের অগ্নিতে পুড়ে, আমরা হব শুদ্ধ,
কর্মের আলোতে উদ্ভাসিত, জীবনের নতুন
মন্ত্র।
মানবের সুরে বোনা, কর্মের মহিমা মহান,
প্রতিটি কথায় বয়ে চলে, কর্মের শাশ্বত
বাণী।
কর্মহীন জীবন নয় কিছুই, কর্মেই সকল
খ্যাতি,
কর্মের মাঝেই খুঁজে পাই, জীবনের সার্থকতা,
জীবনের তৃপ্তি।
তাই, প্রিয় পাঠক, শোনো, কর্মই জীবন,
এ সত্যি মানো,
জীবনের পথে আমরা সবাই, কর্মের পথে
আলো।
কর্মের মাঝে খুঁজে পাই, জীবনের মধুরতা,
কর্মেই গড়ে ওঠে, আমাদের জীবন, আমাদের
সত্যতা।