বাংলাদেশ-ভারত দ্বন্দ্ব: ইতিহাস, সংঘাত ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা



বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক একটি জটিল ও বহুস্তরীয় ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ভারত বিভক্ত ওয়ার পূর্বে ভারতে সব সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগেই থাকতো। দুই দেশের মধ্যে কখনো বন্ধুত্ব, কখনো বৈরিতা, আবার কখনো সংঘাত দেখা গেছে যা বর্তমান যুগে এসে রাষ্ট্রীয় দ্বন্দ্বে পরিণত হয়েছে। এই দ্বন্দ্বের মূলে রাজনৈতিক, সাম্প্রদায়িক, এবং কৌশলগত বিভিন্ন বিষয় রয়েছে যা যুগে যুগে পরিবর্তিত হয়েছে, আজকের ব্লগে ভারত বাংলাদেশের দ্বন্দ্বের বিষয় সমূহ নিয়ে বিস্তার আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

বিউটিফুল ইসলাম বই

জ্ঞানপিপাসু কাব্যগ্রন্থ

আদর্শিক রাজনীতি বই

ডিজিটাল বিজনেস বই

১. বাংলাদেশ-ভারত দ্বন্দ্ব: একটি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্বের শিকড় বহু পুরনো এবং এটি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে উদ্ভাসিত হয়েছে, কখনো এই দ্বন্দ্ব সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা হয়ে সৃষ্টি হয়েছে, কখনো ভারতের অপরাজনীতির ফলে সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত সমস্যা, আঞ্চলিক আধিপত্যের লড়াই, এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা এই দ্বন্দ্বকে আরও জটিল করে তুলেছে, পশ্চিম এবং পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্য মূল সুযোগ নিয়ে পাকিস্তানকে ভাগ করা যেটাকে রাজনৈতিক কৌশলগত ভাবে ভারতের বিজয় হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত বড় ভূমিকা পালন করলেও, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বেড়েছে তার প্রধান কারণ হলো ভারতীয় আগ্রাসন এবং লুটপাট। বলা হয় তাকে বাংলাদেশের জাতীয় নেতাগন যারা ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদেরকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হতো।

২. দুই দেশের বৈরিতার কারণ

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈরিতার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সীমান্ত সমস্যা, পানি ভাগাভাগি, এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ যা বাংলাদেশী জনগণকে ভারত বিদ্বেষী করে তুলেছে। এছাড়াও, ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কারণে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে বিডিয়ার বিদ্রোহ সময় ৫৭ জন আর্মি অফিসার কে হত্যা করা, বাংলাদেশের সামরিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ভারতীয় সমর্থিত শাসন ব্যবস্থা কায়েম, সর্বশেষ হাসিনাকে স্বৈরাশাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সবকিছুই ছিল ভারতীয় অপরাজনীতির ফসল। 

৩. পাকিস্তানকে বিভক্ত করার কারণ

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পূর্ব অংশ থেকে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার পেছনে ভারতের কৌশলগত স্বার্থ জড়িত ছিল তারা অখন্ড পাকিস্তানকে হুমকি স্বরূপ মনে করত। ভারত চেয়েছিল পাকিস্তানকে দুর্বল করতে এবং আঞ্চলিকভাবে তার প্রভাব বাড়াতে যেকোনো মূল্য হলেও পাকিস্তানের ক্ষতি করা। যদিও এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সহায়ক ছিল তাদের সহযোগিতায় আমরা স্বাধীন হয়েছি কিন্তু তাদের মনে ছিল দুষ্টু বুদ্ধি,বাংলাদেশের সাথে তাদের আচরণ লক্ষ্য করলেই বিষয়টি লক্ষ্য করা যায় পরবর্তীতে এটাই দ্বন্দ্বের একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৪. ভারতীয় অপরাজনীতি

ভারতীয় রাজনীতি প্রায়ই সাম্প্রদায়িক এবং আঞ্চলিক স্বার্থে পরিচালিত হয়েছে ভারতীয় প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে আচার ব্যবহার বিশ্লেষণ করলে তা লক্ষ্য করা যায়। বিজেপির মতো দলগুলো এই অপরাজনীতির প্রধান উপাদান তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল হিন্দুত্ব উগ্রবাদিতাকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করা। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও এই অপরাজনীতি প্রভাব ফেলেছে, যেখানে ভারতের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থান বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি , তারা বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে বাংলাদেশকে অখন্ড ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার পায়তারা করে।

৫. সাম্প্রদায়িক সংঘাত

ভারতে সাম্প্রদায়িক সংঘাত একটি প্রচলিত সমস্যা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ভারতের প্রধান অস্ত্র হলো সাম্প্রদায়িক সংঘাত। ভারতের হিন্দু-মুসলিম বিরোধ প্রায়ই সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বাংলাদেশের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়িয়েছে বিজিবি প্রতিবার নির্বাচনে জয় লাভ করার জন্য মুসলিমদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেয়। এই উত্তেজনা দুই দেশের জনগণের মধ্যে বৈরিতাকে আরও তীব্র করেছে বাংলাদেশেও সাম্প্রদায়িক বিষ রুপণে ভারতীয় হলুদ মিডিয়াগুলো অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।

৬. ২০০১ বাংলাদেশ–ভারত সীমান্ত সংঘাত

২০০১ সালে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ওপর একটি বড় আঘাত হানে। কিন্তু তখনকার বাংলাদেশী বর্ডার গার্ড আর্মি প্রতিবাদ করে, উভয় দেশের সামরিক সৈন্য নিহত হন, যা সীমান্ত অঞ্চলে বাস করা মানুষের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে ধরে কিন্তু কৌশলগতভাবে এই সংঘাতে বাংলাদেশের বিজয় ফুটে উঠেছিল।

৭. সীমান্তে বেসামরিক বাংলাদেশীদের লাশ

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দ্বারা বেসামরিক বাংলাদেশীদের হত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে গত ১৫ বছরে প্রতিবছরে ২০ থেকে ৫০ জন নিহত হয়েছে বিএসএফের গুলির আঘাতে।সরকারের ভারতপ্রেমী মনোভাবের ফলে বাংলাদেশী বর্ডার গার্ড বাহিনী এর প্রতিবাদ করেনি। এই ঘটনা শুধু দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির কারণ নয়, বরং এটি সীমান্ত অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনেরও উদাহরণ আর ভারত সবসময় নিজেদের ক্ষমতা দেখানোর জন্য এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়। 

৮. বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতীয় হস্তক্ষেপ

ভারতের বাংলাদেশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়, ভারতের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা ও আনুগত্য বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা হয়।

৯. বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতীয় মিথ্যা প্রপাগান্ডা

ভারতীয় মিডিয়া প্রায়ই বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ও প্রপাগান্ডা ছড়ায়, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করে। এই প্রপাগান্ডা শুধুমাত্র দ্বন্দ্বকেই তীব্র করে না, বরং দুই দেশের সম্পর্কে অবিশ্বাসও বাড়ায়।

১০. জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদিতা

ভারতে হিন্দু জঙ্গিবাদ এবং উগ্রবাদিতা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষ করে বিজেপি সরকার ক্ষমতাই টিকে থাকার জন্য মুসলিমবিদ্বেষী ভাষণের মাধ্যমে হিন্দু ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই উগ্রবাদ প্রায়ই বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করে, তারা বোঝানোর চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোন দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলে বাংলাদেশ হিন্দুদের অস্তিত্ব থাকবে না এবং সাম্প্রদায়িক সমস্যা সৃষ্টি হবে কিন্তু মূলত দেখা যায় বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে বেশিরভাগ হিন্দু নির্যাতিত হয়েছে। এই অপরাজনীতির ফলে বাংলাদেশের মুসলিম জনতা ভারতের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করে ফলস্বরূপ দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক বৈরিতা বৃদ্ধি করে।

১১. বাংলাদেশের আওয়ামী দালালের ভারতীয় আধিপত্য

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ভারতের প্রভাবকে অনেকেই সমালোচনা করে বিশেষ করে আওয়ামী সরকার সব সময় ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা করে নিজে ক্ষমতা থাকার চেষ্টা করে। আওয়ামী লীগকে ভারতের প্রতি বিশেষভাবে অনুগত মনে করা হয়, বাংলাদেশের জনগনের চেয়ে ভারতীয়দের বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া যা দেশের জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।

১২. স্বৈরাচারী হাসিনা ভারতের অন্ধ ভক্ত

শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রতি অন্ধ ভক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয় কারণ ভারত তাদের মূল্যায়ন না করলেও তারা সব সময় ভারতীয় সকল চাহিদা মাথায় রেখে সাধারণ জনগণকে ধমন করার চেষ্টা করেছে। ভারতের প্রতি তার এই অবস্থান বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শেখ হাসিনার প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি করেছে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়িয়েছে। 

১৩. তিস্তা পানি চুক্তি নিয়ে ভারতের অপরাজনীতি

তিস্তা নদীর পানি বন্টনে বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। ভারতের সাথে চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করা হয়নি, ফলে দেশের কৃষি ক্ষেত্র ও কৃষকরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ঠিক তেমনি বর্ষাকালে বাঁধ ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যা দেখা দেয়। শেখ হাসিনার সরকারের পক্ষ থেকে এই অসমতার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া এবং ভারতের স্বার্থের প্রতি অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া বাংলাদেশের কৃষি ও পানি সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

১৪. খাদ্য রপ্তানি নিয়ে ভারতের অপরাজনীতি

শেখ হাসিনার সরকার ভারতীয় পণ্যের প্রতি অতি আনুগত্য প্রদর্শন করেছে। ভারতের অপ্রয়োজনীয় পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে, যা স্থানীয় শিল্প এবং কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশের কৃষকরা যখন বাজারে তাদের ফসল বিক্রি করার সময় হয় তখন ভারতীয়  ফসল বাংলাদেশে কম দামে দিয়ে দেওয়া হয়, যেন বাংলাদেশের কৃষকরা  ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরের বছর যখন বাংলাদেশের কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ফসল উৎপন্ন করে না তখন ভারত দশ টাকার ফসল ২০০ টাকায় বাংলাদেশের কাছে বিক্রি করে। অপরদিকে, প্রয়োজনীয় বাংলাদেশি পণ্য ভারতের বাজারে রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

১৫. বাংলাদেশী হিন্দুদের অখন্ড ভারত প্রেমি মনোভাব

বাংলাদেশী হিন্দুদের মধ্যে কিছু অংশের অখন্ড ভারত প্রেমি মনোভাব দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা বাড়িয়ে তুলেছে অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে লক্ষ্য করা যায় তারা অখন্ড ভারতের জন্য প্রার্থনা করতেছে। এই মনোভাব প্রায়ই সাম্প্রদায়িক সংঘাতেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং অনেক বাংলাদেশী হিন্দু সম্প্রদয় নিজের মাতৃভূমি থেকে ভারতকে বেশি গুরুত্ব দেয় যেটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অস্বস্তির কারণ।

১৬. স্বার্থপর ভারত: নিজের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া

ভারত তার আঞ্চলিক স্বার্থকে সবসময় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়, নিজের স্বার্থে তারা যেকোনো কিছু করার জন্য প্রচেষ্টা চালায় যা প্রায়ই প্রতিবেশী দেশের স্বার্থকে উপেক্ষা করে এবং ভারতীয় বিদ্বেষ মনোভাব সৃষ্টি হয়। কিন্তু এই বিষয়টি বাংলাদেশের মতো ছোট দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় সাধারণ জনগণ ভারতীয় রাজনীতিকে মন থেকে ঘৃণা করে।

১৭. ভারতের অহংকার ও দাম্ভিকতা

ভারতের অহংকার ও দাম্ভিক মনোভাব তার প্রতিবেশী দেশের সাথে সম্পর্ককে জটিল করে তোলে। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে এই মনোভাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

১৮. সেভেন সিস্টার্স নিয়ে ভারতের ভয়

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে নিয়ে ভারতের মধ্যে সর্বদা একটি ভয় কাজ করে যেহেতু তারা বাংলা ভাষাভাষী তাই বাংলাদেশের মানুষদের সাথে তাদের সবসময় একটা সম্প্রতির সেতবন্ধন কাজ করে। এই অঞ্চলগুলিতে অনেক সময় ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার জন্য আন্দোলন করার কারণে ভারত বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত হুমকি হিসেবে দেখে।

১৯. বাংলাদেশকে নিয়ে চীন-ভারত দ্বন্দ্ব

চীন ও ভারতের মধ্যকার কৌশলগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাংলাদেশকেও প্রভাবিত করে কারণ বাংলাদেশ যাদের সমর্থনে থাকবে তারা ভৌগলিক রাজনীতির কৌশলগত দিক দিয়ে এগিয়ে থাকে। সাম্প্রতিককালে লক্ষ্য করা যায় চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা ভারতকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এ বিষয়টি ভারত মোটেও ভালো চোখে দেখে না যেহেতু বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র তাই বাংলাদেশ কাদের সাথে সুসম্পর্ক রাখবে এটা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের ব্যক্তিগত বিষয়।

২০. বাংলাদেশী মানুষ ভারতবিদ্বেষী হওয়ার কারণসমূহ

ভারতের একতরফা নীতি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড, এবং আঞ্চলিক আধিপত্যবাদ বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারতবিদ্বেষকে উসকে দিয়েছে এর সম্পূর্ণ দায়ভার ভারতের। একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন ভারতের প্রতিবেশী কোন রাষ্ট্রের সাথে তাদের সুসম্পর্ক নেই তারা সবসময় জোরপূর্বক নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।

২১. মুসলমানদের গাজোয়াতুল হিন্দ যুদ্ধের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস

ভারত যেভাবে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠা করার জন্য সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন শুরু করে সেটাকে প্রতিহত করার জন্য মুসলিম ধর্মবিশ্বাসে গাজোয়াতুল হিন্দ যুদ্ধ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ গাজাতুল হিন্দ বলতে শেষ জামানায় ভারতবর্ষে হিন্দুত্ববাদ আগ্রাসন হতে মুসলমানদের মুক্তির নিদর্শন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় শিবসেনাদের প্রতি মুসলিমদের মধ্যে বিদ্বেষের সৃষ্টি করে এবং দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা বাড়ায়।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বন্দ্বের ইতিহাস, সাম্প্রতিক সংঘাত এবং কৌশলগত স্বার্থের সংঘাত এই সম্পর্ককে জটিল করে তুলেছে যার জন্য ভারত সম্পূর্ণ দায়ী। দুই দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নির্ভর করছে উভয় দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর, যারা এই দ্বন্দ্বকে কাটিয়ে একটি স্থায়ী ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হবে ভারত যদি আগ্রাসনী মনোভাব পরিত্যাগ করতে পারে  তাহলে বাংলাদেশের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে। তবে এর জন্য প্রয়োজন আন্তরিকতা, সংলাপ, এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ খুবই জরুরী।

জনপ্রিয় ব্লগ গুলো:

বিউটিফুল ইসলাম বই

জ্ঞানপিপাসু কাব্যগ্রন্থ

আদর্শিক রাজনীতি বই

ডিজিটাল বিজনেস বই

পৃথিবীর বয়স, সৃষ্টি ও বৈচিত্র্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

বিউটিফুল ইসলাম বইয়ের সকল পর্ব 

জ্ঞানপিপাসু কাব্যগ্রন্থের সকল কবিতা



Thanks For Comment we are reply soon as possible.

Previous Post Next Post