কবিতা: কুরবানী

 

কুরবানী

দিলোয়ার হোসেন পাঠান

তাকবির ধ্বনিতে মুখরিত, ঈদের সকাল আসে,

কুরবানীর ঈদ, ঈদুল আযহা, পবিত্রতা হৃদয়ে বাসে।

ত্যাগের মহিমা নিয়ে, শুরু হয় এ উৎসব,

আত্মার পরিশুদ্ধি, নিবেদনের অমল ভাব।

 

ইব্রাহিমের ত্যাগ, স্মরণে আনে প্রাণ

আল্লাহর পথে সন্তানের, উৎসর্গের পুণ্য বাণী ঘোষণা।

সেই ইতিহাসের সাক্ষী, কুরবানি আমাদের রীতি

আল্লাহর সন্তুষ্টিতে, কাটে হৃদয়ের কুয়াশা ঘনিয়ে।

 

প্রথম রোশনি ভোরের, মসজিদের মিনারে বাজে আজান

নামাজের কাতারে, মিলে সব মন প্রাণ।

তাকবির ধ্বনি গর্জে, আকাশ বাতাস মুখর

ঈদুল আযহার মাহাত্ম্য, হৃদয়ে বাজে সুমধুর।

 

কুরবানীর পশু সাজানো, সেজেছে রঙিন

মনের গভীরে বেজে ওঠে, আনন্দের দিন।

আল্লাহর নামে, নিবেদনের শপথ

কুরবানীর রক্তে, মুছে যায় পাপের স্রোত।

 

ভাইয়ে ভাইয়ে মিল, নেই ভেদাভেদ

ঈদুল আযহায়, নতুন স্বপ্নের প্রলেপ।

গরিবের মুখে হাসি, ধনীর হৃদয় প্রশান্ত

যাকাত-সাদাকায়, মেলে সকলের সমান আনন্দ।

 

ঘরে ঘরে সাজে, মিষ্টি-মাংসের ভোজ

প্রিয়জনের সাথে, সুখের মুহূর্তে প্রবাহিত স্রোত।

ঈদের খুশি ভাগাভাগি, হৃদয়ে হৃদয়ে মেলে

ত্যাগের মহিমায়, সবার অন্তর সার্থক হয়ে চলে।

 

ঈদুল আযহা মানে ত্যাগ, ঈদুল আযহা মানে ভালোবাসা

আত্মত্যাগের মাধ্যমে, হৃদয়ে বয়ে আনে স্রষ্টার আশ্বাসা।

এই দিন শেখায়, ন্যায় ও নীতির পথ

ত্যাগের মহিমায়, খুঁজে পাই জীবনের সত্য মূলমন্ত্র ।

 

আল্লাহর পথে চলি, সৎ পথে থাকি

ঈদুল আযহার পবিত্রতা, হৃদয়ে রূপকথা বুনি।

ত্যাগের এই দিনে, মিলে পরম শান্তি

ঈদুল আযহায় সবার, অন্তরে মেলে আনন্দের ঝাঁপি। 

Thanks For Comment we are reply soon as possible.

Previous Post Next Post