আওয়ামী লীগের পতনের প্রভাব এবং ভারতের অস্থিরতা

আওয়ামী লীগের ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গে ভারত যে অস্থির এবং পাগলপ্রায় হয়ে উঠেছে, তা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর থেকেই সংখ্যালঘু ইস্যু সামনে এনে একটি উদ্দেশ্যমূলক প্রোপাগান্ডা চালানোর চেষ্টা চালিয়েছে ভারত। চিন্ময় হালদারের মতো ব্যক্তিকে দিয়ে হঠাৎ করেই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে, যা স্পষ্টতই ভারতের কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ।

বিশাল হিন্দু জমায়েত আয়োজন এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য এখন পরিষ্কার। চিন্ময় গ্রেফতারের পর ভারত যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে, তা তাদের গভীর ষড়যন্ত্রেরই ইঙ্গিত দেয়। এতদিন বাংলাদেশের সম্পদ এবং রাজনৈতিক স্থিতি নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে ভারত ছিল আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু সেই সুযোগ বন্ধ হতে দেখেই তারা এখন অস্থির হয়ে উঠেছে।

ভারতের সম্ভাব্য হামলার ষড়যন্ত্র

ভারত বাংলাদেশে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন নয়। তারা জাতিসংঘের মাধ্যমে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের মিথ্যা গল্প প্রচার করে, আন্তর্জাতিক সমর্থন পেতে চাচ্ছে। এটি তাদের কনসেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং-এর একটি কৌশল, যা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে পারে।

তবে বাংলাদেশে ভারতের সরাসরি সামরিক হামলার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম হলেও, একেবারে অসম্ভব নয়। তারা এর আগে বহুবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে এবং এখনও সেই প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে।

আওয়ামী লীগের সমর্থকদের জন্য একটি প্রশ্ন

যারা আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন বা এখনও আছেন, তাদের আত্মসমালোচনা করা জরুরি। দেশের সম্পদ ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা ভারতীয় স্বার্থে ব্যবহার করার সুযোগ করে দিয়ে আপনারা কি সঠিক কাজ করেছেন? বাংলাদেশের মত একটি স্বাধীন রাষ্ট্রকে কি এভাবে অন্য দেশের দয়া-দাক্ষিণ্যের উপর নির্ভরশীল করে তোলা উচিত ছিল?

বাংলাদেশিদের জন্য একটি বার্তা

আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমাদের শরীরে আমাদের পূর্বপুরুষদের রক্ত প্রবাহিত। আমাদের ভূমি রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। কোনো দাজ্জাল শক্তি, ভারত বা অন্য কোনো দেশই আমাদের মাটি কেড়ে নিতে পারবে না, যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং আত্মবিশ্বাস বজায় রাখি।

আবু সাঈদের চিতানো বুকের মতো আমাদের সাহসিকতা দেখাতে হবে। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। মৃত্যু বা শাহাদাত, যেটাই হোক, আমরা মুসলমানরা এর জন্যই প্রস্তুত। দুনিয়ার এই কয়েকদিনের জীবন ভয় পেয়ে নয়, দৃঢ়তার সঙ্গে কাটাতে হবে।

আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ও ঐক্যই ভারতের মতো শক্তির চক্রান্তকে নস্যাৎ করবে। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। "হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকীল" — আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করি, তিনিই আমাদের যথেষ্ট। ইনশাআল্লাহ, আমাদের বুকের রক্ত দিয়ে আমরা আমাদের মাতৃভূমি রক্ষা করব।


Thanks For Comment we are reply soon as possible.

Previous Post Next Post