প্রিয় জাতি,
আজ আমরা এক গভীর গুরুত্বপূর্ণ সংকটময় সময়ে অবস্থান করছি। বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের সকলকে সতর্ক এবং বিবেকবান হওয়ার আহ্বান জানাই। আমাদের চারপাশে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে যা জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঢেকে দিতে পারে। ফ্যাসিবাদ, মুনাফিকতা এবং মুশরিকদের ষড়যন্ত্র—এই ত্রিমুখী হুমকি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা, স্বাধীনতা, এবং সামাজিক সুস্থতার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ফ্যাসিবাদের কারিগর ও প্রশাসনিক নির্লিপ্ততা
সম্প্রতি আমরা দেখেছি, প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের মতো ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদরত মানুষদের কীভাবে বেধড়ক পিটিয়েছে প্রশাসন। অথচ যখন ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং লাশ পড়ে, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এই দ্বিমুখী আচরণ আমাদের প্রশাসনের প্রকৃত চেহারা উন্মোচন করে।
গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার তার প্রভাব এবং শিকড় এমনভাবে পুঁতে দিয়েছে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে যে, এর ফলশ্রুতিতে জাতি আজ বিভক্ত, অসহায় এবং বিপর্যস্ত। এটি স্পষ্ট যে, স্বৈরাচার আবার ফিরে আসার পথ প্রশস্ত করছে, এবং এর পেছনে রয়েছে ভারতীয় প্রভাবিত এজেন্ট এবং অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রকারী দল।
স্বৈরাচার ও মুনাফিকদের ষড়যন্ত্র
স্বৈরাচারের মদদে দেশে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যেখানে বিশ্বাসী মুমিনরা দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে পড়েছে। তাদের কোনো মর্যাদা নেই, তাদের কণ্ঠকে দমন করা হয়েছে, এবং তাদের প্রতি সব ধরনের সুবিচার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
মুশরিক ও মুনাফিকরা তাদের শক্তি ও প্রভাব দিয়ে দেশের মূলধারাকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা নিজেদের স্বার্থে জাতীয় সম্পদ এবং নাগরিকদের নিরাপত্তা বিক্রি করে দিচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার—দেশের মুমিনদের স্বাধীনতাকে হরণ করে একটি মুশরিক নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
মুমিনদের জন্য সতর্কবার্তা
প্রিয় মুমিনগণ,
আমরা যদি এখন ঐক্যবদ্ধ না হই, তাহলে এই ষড়যন্ত্র আমাদের জানমালকে আরও বিপন্ন করে তুলবে। মুশরিক ও মুনাফিকদের আসল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বাসীদের ধ্বংস করা। তারা মুশরিকদের বন্ধুত্ব গ্রহণ করে এবং বিশ্বাসীদের শত্রু মনে করে। কিন্তু তারা জানে না, তাদের এই ষড়যন্ত্র এবং কূটকৌশল আল্লাহর পরিকল্পনার সামনে কোনোদিন সফল হবে না।
আমাদের সামনে একটাই পথ—ঐক্য, সংহতি এবং তাওহীদের পথে দৃঢ় থাকা। যদি প্রয়োজন হয়, আমাদের রক্ত দিয়ে হলেও নিজেদের স্বাধীনতা এবং ইমান রক্ষা করতে হবে। আল্লাহ আমাদের এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার তাওফিক দান করুন।
শেষ কথন
জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্ব এখন সতর্ক হওয়া এবং আধ্যাত্মিকভাবে জাগ্রত থাকা। আমাদের প্রশাসন, রাজনীতি এবং সামাজিক কাঠামোতে যে বিষাক্ত বীজ রোপিত হয়েছে, তা নির্মূল করার জন্য একসাথে কাজ করতে হবে।
আসুন, আমরা নিজেদের ঈমান এবং বিবেককে শক্তিশালী করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন এবং এই জাতিকে দুর্যোগ থেকে রক্ষা করুন।
লেখক: দিলোয়ার হোসেন পাঠান
#সতর্কবার্তা #ঐক্য #ইসলামিকচেতনা