ইরান একা নয় — এই লড়াই আমাদের সবার

 যদি আজ ইরান ইহুদি দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইলের কাছে পরাজিত হয়, তবে এই হার শুধু ইরানের হবে না — হবে পুরো মুসলিম উম্মাহর।

এই যুদ্ধ এক দেশের নয়, এক জাতির নয় — এই লড়াই মুসলিম ভূমি, মুসলিম সম্মান, মুসলিম রক্ত ও মুসলিম ভবিষ্যতের।

ইসরাইলের দখলদার নীতির একটিই লক্ষ্য — একে একে মুসলিম ভূখণ্ড দখল করে নেওয়া।
আজ ইরান যদি দুর্বল হয়, কাল তারা চোখ তুলে তাকাবে মক্কা-মদিনা, কুদস, সিরিয়া, লেবানন, পাকিস্তান, তুরস্ক, এমনকি বাংলাদেশ পর্যন্ত।
তাদের চোখে মুসলিম নামধারী সব রাষ্ট্রই দুর্বল শিকার।


🔥 ইরান আজ লড়ছে উম্মাহর অস্তিত্ব রক্ষায়

ইরান যে যুদ্ধ করছে, তা শুধু নিজের সীমান্ত রক্ষার জন্য নয়।
এটি হচ্ছে উম্মাহর জন্য একটি ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর যুদ্ধ।
যেখানে হামাস, হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ, সিরিয়ার প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো একসাথে একটি “রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” গড়ে তুলেছে — যার পেছনে রয়েছে ইরানের অদম্য শক্তি ও আত্মত্যাগ।

তাদের রক্তে ভিজে আছে ফিলিস্তিনের মাটি,
তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের গর্জনে কেঁপে উঠে তেলআবিব,
তাদের ধৈর্য আর প্রতিজ্ঞায় জ্বলছে ইহুদি আধিপত্যবাদ বিরোধী এক অগ্নিশিখা।


🛑 কিন্তু আমরা কী করছি?

আমরা, বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র, মুসলিম জনগণ — কী করছি?
চুপ করে আছি।
নির্বিকারভাবে সংবাদ পড়ছি, কিন্তু কোনো অবস্থান নিচ্ছি না।
কিছু রাষ্ট্র আবার দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরাইলের সঙ্গে গোপন বা প্রকাশ্য চুক্তি করে নিচ্ছে।

মনে রাখুন — আজ যদি ইরান ধ্বংস হয়, তারপর কেউ রক্ষা পাবে না।
কারণ ইসরাইলের আকাঙ্ক্ষা একটিই —
"নিউ মিডল ইস্ট", যেখানে মুসলিমরা হবে ভিখারি, আর ইহুদি হবে শাসক।


📣 এখনই সময় — দ্বিধাহীন অবস্থান নেওয়ার

👉 আমাদের অবশ্যই ইরানের পাশে দাঁড়াতে হবে।
👉 মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর উচিত:

সামরিক সহযোগিতা
কূটনৈতিক জোটবদ্ধতা
অর্থনৈতিক সহায়তা
এবং ইহুদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একসাথে অবস্থান গ্রহণ

👉 সাধারণ মুসলমানদের উচিত:

বিভ্রান্তিমূলক প্রচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া
ইরানবিরোধী ফিতনা চিহ্নিত করে প্রতিহত করা
সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতা তৈরি করা
দোআ ও মানবিক সহায়তার মাধ্যমে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের পাশে দাঁড়ানো


🌍 ইসরাইলের পরবর্তী টার্গেট কে?

আপনি কি মনে করেন, আজ যদি ইরান হেরে যায়, আপনার দেশ নিরাপদ থাকবে?
না, কারণ তাদের পরিকল্পনা বহু আগেই পরিষ্কার — মুসলিম বিশ্বকে একে একে দুর্বল করে পুরো অঞ্চলের শাসন প্রতিষ্ঠা।

আফগানিস্তানে যুদ্ধের পর,
ইরাকে আগ্রাসন চালিয়ে,
সিরিয়াকে বিভক্ত করে,
লিবিয়াকে ধ্বংস করে —
তারা এখন ইরানকে নিশানা করেছে।

তারপর?
তাদের লক্ষ্য হবে মক্কা-মদিনা, কুদস, তুরস্ক, পাকিস্তান, এমনকি বাংলাদেশের ভূখণ্ড।
আপনি যদি আজ নীরব থাকেন, কাল হয়তো আপনার ঘরেই তারা হামলা চালাবে।


🕌 উম্মাহর ঐক্যের জন্য জাগো

আজ আমাদের সামনে দুটি রাস্তা:

প্রথম রাস্তা: চুপ থাকা, বিভেদে মত্ত থাকা, "কে শিয়া, কে সুন্নি" বলে লড়াই করা, এবং একে একে ধ্বংস হওয়া।
দ্বিতীয় রাস্তা: মুসলিম ভাইকে ভাই বলে স্বীকার করা, আকিদার পার্থক্য ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো, এবং ইহুদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা।

সালাহউদ্দিন আইয়ুবীর মতো নেতা আজও জন্মাবে,
শুধু প্রয়োজন — একটি ঐক্যবদ্ধ, সাহসী, দ্বিধাহীন উম্মাহ।


✊ আজ দাঁড়াতে হবে — দ্বিধাহীনভাবে

এই লড়াই শুধু ইরানের নয় — এই লড়াই আমাদের সবার।
মুসলিম উম্মাহর অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই,
আমাদের পবিত্র ভূমিগুলোর সম্মানের লড়াই,
নির্যাতিত ফিলিস্তিনি শিশুদের রক্তের প্রতিশোধের লড়াই।

📢 আজ যদি আমরা নীরব থাকি, কাল তারা আমাদের ঘরে ঢুকবে।
📢 আজ যদি ইরান হারে, কাল আমরা সবাই হারব।
📢 তাই আজই দাঁড়ান — সত্যের পাশে, উম্মাহর পাশে, ইরানের পাশে।


#ইরান #ইসরাইল #ফিলিস্তিন #উম্মাহর_ঐক্য #মুসলিম_জাগরণ #সালাহউদ্দিনের_প্রত্যাবর্তন #ইসলাম_বিপন্ন

Thanks For Comment we are reply soon as possible.

Previous Post Next Post