যখন সবাই নীরব, তখন ৮৬ বছরের এক সাহসী মানুষ দাঁড়িয়ে যান আগ্রাসনের বিরুদ্ধে

 আজকের বিশ্ব এক অদ্ভুত দ্বিধা ও ভয়ের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে।

বিশেষ করে মুসলিম বিশ্ব—যেখানে অধিকাংশ শাসক ইহুদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পর্যন্ত করেন না।
নিজেদের ক্ষমতা ও সিংহাসন টিকিয়ে রাখতে তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন।
তাদের কাছে ফিলিস্তিন নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো রাজকীয় প্রাসাদ, পশ্চিমা সমর্থন, আর মিডিয়ার বাহবা।

এই নীরবতার অন্ধকারে যখন পুরো মুসলিম জগৎ থমকে ছিল, ঠিক তখনই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে যান একজন ৮৬ বছরের সাহসী নেতা—আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
তিনি শুধু মুখে নয়, প্রতিরোধের মাঠে নেমে নেতৃত্ব দিয়েছেন, বলেছেন স্পষ্ট — “ইহুদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধই ন্যায়সঙ্গত।”


🕊️ একজন নেতা, যিনি উম্মাহর সম্মানে আপসহীন

খামেনি কোনো শোভাবর্ধনকারী নেতা নন।
তিনি সেই কণ্ঠ, যিনি ফিলিস্তিনের শিশুদের কান্না শুনে চুপ থাকেননি।
যিনি প্রতিটি ড্রোন হামলার বদলে প্রতিরোধের ডাক দিয়েছেন।
যিনি বলেছেন — “ইসরাইল ধ্বংস হবে, ইনশাআল্লাহ।”

ইরানের নেতৃত্বে ‘আক্স অব রেজিস্ট্যান্স’ নামে যে প্রতিরোধ ফ্রন্ট গড়ে উঠেছে — হিজবুল্লাহ, হামাস, ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ, ইরাক ও সিরিয়ার প্রতিরোধ গোষ্ঠী — এর পেছনে রয়েছে তারই অনুপ্রেরণা।


🔻 কিন্তু মুসলিম বিশ্বের ভেতরের দ্বিচারিতা?

যখন একজন মানুষ ইহুদি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে,
তখন আমরা কি তাকে স্যালুট জানাই?
না — বরং আমরা বলি, "ও তো শিয়া", "তার আকিদা ঠিক না", "তাকে অনুসরণ করা যাবে না"।

অথচ এই ফতোয়া-প্রবণ তথাকথিত হকপন্থীরা নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারেননি উম্মাহর স্বার্থ।
তারা কি ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদের কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছেন?
তারা কি কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন?
তাদের কি মুখে শুধু “তাওহীদ” আর “সালাফ” থাকবে — কিন্তু বাস্তবে ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটিও কৌশলগত কাজ থাকবে না?


❗ প্রশ্ন আসে — কে সত্যিকারের হকপন্থী?

👉 আপনি যদি বিশ্বাস করেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ–এর প্রতি ঈমানই মুসলিম হবার প্রধান শর্ত,
👉 আপনি যদি দেখেন, একজন মানুষ ফিলিস্তিনের জন্য রক্ত দিচ্ছে,
👉 আপনি যদি জানেন, সে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে আছে,

তবে আপনি কি তাকে ‘বেদ্বীন’ বলবেন, শুধুমাত্র তার আকিদাগত পার্থক্যের জন্য?

না, হকপন্থী হওয়া মানে হলো সত্যের পাশে দাঁড়ানো — যেকোনো নাম, বর্ণ, মাজহাব বা ফিরকার ঊর্ধ্বে গিয়ে।
একটি শিশু যখন গাজায় বোমায় ছিন্নভিন্ন হয়, তখন তার পাশে দাঁড়ানো মানুষের নাম শিয়া না সুন্নি — সেটা মুখ্য নয়।
মূল বিষয় হলো — সে দাঁড়িয়েছে কিনা।


🛑 বিভেদের রাজনীতি — ইহুদিদের পুরনো অস্ত্র

ইসলামের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, শত্রুরা কখনো মুসলিমদের সম্মিলিত শক্তিকে পরাজিত করতে পারেনি —
তারা জিতেছে ভিতরের বিভেদের সুযোগে।
আজ যখন ইরানের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেওয়া হয়, যখন প্রতিরোধকে হেয় করা হয় — তখন ইসরাইল খুশি হয়।

সালাহউদ্দিন আইয়ুবী ইতিহাসের সেই মহানায়ক, যিনি শিয়া-সুন্নি বিভেদ ভুলে মুসলিমদের একত্র করেছিলেন,
জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেছিলেন — ঐক্যের শক্তি দিয়ে।


📣 এখনো সময় আছে — একজন সালাহউদ্দিন হোন

আজ মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো ঐক্য।
যে মুসলিম আল্লাহ ও রাসূল ﷺ–এ বিশ্বাস করে — সে আমাদের ভাই।
আকিদার পার্থক্য নিয়ে বিতর্ক করা যেতে পারে — কিন্তু সেই পার্থক্যকে যুদ্ধের রণনীতি বানিয়ে ফেলাটা আত্মঘাতী।

👉 হক ও বাতিলের ফয়সালা কিয়ামতের দিন আল্লাহ করবেন।
👉 আমাদের কাজ হলো — উম্মাহকে বিভাজনের বদলে একতার দিকে ডেকে আনা।


✊ অন্তত নিজের বিবেকের জগতে একজন সালাহউদ্দিন হোন

হয়তো আপনি বড় কোনো পদে নেই।
হয়তো রাষ্ট্র চালান না।
কিন্তু আপনি যদি সত্যকে চিনে, স্পষ্ট বলতে পারেন — তবে আপনি একজন চিন্তাশীল মুজাহিদ।
👉 আপনি যদি বলেন — “ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো ফরজ”,
👉 আপনি যদি বলেন — “ইহুদি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে লড়ছে, সে আমাদের ভাই”,
তবে আপনি একজন সত্যিকারের মুসলিম।


🔚 উপসংহার

ইসলাম বিভেদ চায় না — ইসলাম চায় ঐক্য।
ইসরাইল চায় — মুসলিমরা একে অপরকে ‘বেদ্বীন’, ‘মুশরিক’, ‘বিদআতি’ বলে ঘৃণা করুক।
কারণ তখন তাদের কোনো প্রতিরোধ থাকবে না।

তাই আজ আমাদের চরম প্রয়োজন — ঐক্য, সাহস, এবং সত্যের পাশে দাঁড়ানো।

আজ যখন ইহুদিরা একজোট হয়ে মুসলিম রক্তে মাটি রাঙাচ্ছে,
তখন মুসলিমরা একে অপরকে কাফির বলছে —
এটা শুধু লজ্জার নয়, এটা এক ভয়ংকর আত্মঘাতী ফিতনা।

📢 জেগে উঠুন! বিভেদের নয় — প্রতিরোধের বার্তা দিন।
📢 একজন সালাহউদ্দিন হোন — অন্তত নিজের বিবেকের ভেতরে।


#ইসলামিক_ঐক্য #খামেনি #ফিলিস্তিন #ইসরাইল #সালাহউদ্দিন #উম্মাহর_ঐক্য #ভিতরের_শত্রু #ভবিষ্যতের_মুজাহিদ

Thanks For Comment we are reply soon as possible.

Previous Post Next Post