বাংলাদেশ আজও আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ভয়াবহভাবে পিছিয়ে।
না আছে আধুনিক ফাইটার জেট,
না আছে লং রেঞ্জ মিসাইল,
না আছে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
আর সবচেয়ে দুঃখজনক বিষয় হলো — এই ব্যাপারে আমাদের জাতীয় পর্যায়ে কোনো চিন্তা বা অগ্রাধিকারই নেই।
এই পরিস্থিতি শুধু উদ্বেগজনকই নয়, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকিস্বরূপ।
🇧🇩 ঘিরে আছে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো — প্রস্তুত কি আমরা?
বাংলাদেশের চারপাশে রয়েছে পরমাণু শক্তিধর, আধুনিক যুদ্ধপ্রস্তুত রাষ্ট্র —
যারা চাইলে মুহূর্তেই আকাশপথে, স্থলপথে কিংবা সমুদ্রপথে আক্রমণ করতে পারে।
আমরা কিন্তু ব্যস্ত ক্রিকেট, বিনোদন, সামাজিক মিডিয়া আর রাজনৈতিক হাস্যকর কোলাহলে।
এ যেন জাতীয় আত্মঘাতী উদাসীনতা।
🛰️ আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অভাব — একটি জাতীয় দুর্বলতা
বিশ্বের প্রতিটি সভ্য দেশ নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সামরিক শক্তি গড়ে তুলেছে।
আর আমরা এখনো বক্তৃতা আর প্রতিশ্রুতির দেশ।
বাংলাদেশে এখনো—
নেই মাল্টি-রোল ফাইটার জেট (যেমন: Rafale, F-16, Su-35)নেই লং রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল
নেই আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম (যেমন: S-400, Iron Dome)
নেই সাইবার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা
নেই মহাকাশ নজরদারি বা স্যাটেলাইট-ভিত্তিক গোয়েন্দা তথ্য
❗ ভাগ্যের উপর নির্ভরশীলতা একটি বিপজ্জনক ভুল
একটা জাতি যদি নিজের আকাশ রক্ষা করতে না পারে,
যদি নিজেকে রক্ষা করার জন্য কোনো প্রস্তুতি না থাকে,
তবে সে জাতি ইতিহাসে শুধুই শিকার হয়ে থাকবে।
ভবিষ্যতে যদি আমাদের আকাশে আগুন নামে —
আমরা কি শুধু ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করব?
নাকি সেলফি তুলে দেশপ্রেম দেখাব?
🛡️ সময় এখন প্রস্তুতির — দেশপ্রেম মানে শুধু আবেগ নয়, দায়িত্ব
"দেশপ্রেম মানে শুধু স্ট্যাটাস দেওয়া নয়, নিজের দেশের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে কাজ করা।"
এখনো সময় আছে —
আমাদের দরকার একটি আধুনিক, শক্তিশালী এবং টেকসই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা:
✅ আধুনিক ফাইটার জেট কেনা
✅ লং রেঞ্জ মিসাইল প্রযুক্তি অর্জন
✅ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Anti-Missile Systems)
✅ সেনাবাহিনীর জন্য স্মার্ট অস্ত্র ও ড্রোন সিস্টেম
✅ সমুদ্র ও সীমান্তে নজরদারি প্রযুক্তির উন্নয়ন
✅ কূটনৈতিকভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের ব্যবস্থা
📢 জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে প্রতিরক্ষা খাত
"অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ — কিন্তু প্রতিরক্ষা ছাড়া সবই অনিরাপদ।"
জাতীয় বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার দিতে হবে।
আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন একটি নিরাপদ, স্বাধীন ও শক্তিশালী বাংলাদেশে বাঁচতে পারে,
সেই ব্যবস্থা আজ থেকেই নিতে হবে।
🔚 উপসংহার
আজ আমাদের ভাবতে হবে —
আমরা কি ভবিষ্যতের কোনো ভয়াবহ আক্রমণ বা বিপর্যয়ের আগে প্রস্তুতি নিচ্ছি?
নাকি সেই দিনটাতে শুধু আক্ষেপ করব —
“কখনো ভাবিনি এমন কিছু হতে পারে!”
জাতিকে রক্ষা করতে চাইলে, শুধু প্রার্থনা নয়, প্রস্তুতিও লাগবে।
এখনই সময় সতর্ক হওয়ার, সচেতন হওয়ার, আর প্রস্তুতি নেওয়ার।